নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার প্রতি বছর ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি তেল আমদানি করলেও, সেই তেলের গুণগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো: ছাইফুল ইসলাম। তিনি মন্তব্য করেছেন, “এই তেলের নামে আমরা কী খাচ্ছি, এগুলো খাঁটি সয়াবিন তেল না।”
বুধবার (ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪) চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় সাদুল্ল্যাপুর ইউনিয়নে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত এক মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নিজেরা তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন করতে পারলে সবচেয়ে পুষ্টিকর ও নিরাপদ তেল পাওয়া যাবে। তাই পুষ্টির চাহিদা পূরণে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনে সবাইকে আরও আগ্রহী হতে হবে। মহাপরিচালক অভিযোগ করেন যে, একটি সিন্ডিকেটের কারণে বাংলাদেশে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমে গেছে, কারণ দেশীয় উৎপাদন বাড়লে তেল ব্যবসায়ীদের আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পুষ্টি ও তেলজাতীয় খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে, নাহলে দেশ অপুষ্টিতে ভুগতে থাকবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, কৃষকরাই দেশের প্রধান উৎপাদন শক্তি। করোনার সময়ে অন্যান্য পেশার মানুষ কর্ম থেকে দূরে থাকলেও কৃষকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। তবে করোনার সময়েও উৎপাদন ৪০ ভাগ কমে গিয়েছিল, কিন্তু কৃষকদের পরিশ্রমে গত দুই বছরে ২০ ভাগ বেড়েছে। তাই কৃষকদের ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
কুমিল্লা অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো: আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. সাফাতেত আহম্মেদ সিদ্দিকী, সিকোট্যাক্স এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক এ বি এম নাছির উদ্দীন সরকার, চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আবু তাহের প্রমুখ।