প্যারিস থেকে, ভিওইবি প্রতিনিধি:
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশসহ সাতটি দেশকে ‘নিরাপদ’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ফলে এসব দেশের নাগরিকদের জন্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করা আগের তুলনায় অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়বে। পাশাপাশি, আশ্রয়প্রার্থী নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াও হবে আরও সহজ ও দ্রুত।
বুধবার ১৬ এপ্রিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে যে সাতটি দেশের নাম প্রকাশ করা হয়েছে, সেগুলো হলো—বাংলাদেশ, ভারত, মিশর, কলম্বিয়া, কসোভো, মরক্কো এবং টিউনিশিয়া।
ইইউ’র অভিবাসন কমিশনার ম্যাগনাস ব্রুনার জানান, “বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনের পরিমাণ ও জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে আমরা যেকোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।”
এদিকে, ইটালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি এই ঘোষণা ইটালির সরকারের ‘সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার ভাষায়, “আমরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিবাসননীতি সংশোধনের পক্ষে ছিলাম। আজকের এই সিদ্ধান্ত সেই ধারাবাহিক প্রচেষ্টারই ফল।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রত্যাশায় থাকা হাজার হাজার বাংলাদেশির জন্য এই ঘোষণা এক নতুন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। বিশেষ করে, ইতোমধ্যে ইউরোপে প্রবেশ করে থাকা কিংবা আশ্রয়ের আবেদনকারী নাগরিকদের ওপর এর প্রভাব পড়বে তাৎক্ষণিকভাবে