আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ত্রিপুরা রাজ্য সরকার বাংলাদেশের কাছে তাদের সরবরাহ করা বিদ্যুতের বাবদ প্রায় ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তবে বকেয়া থাকা সত্ত্বেও এখনই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে তিনি স্পষ্ট করেছেন।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ কর্পোরেশন লিমিটেড (টিএসইসিএল) এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে একটি চুক্তি অনুযায়ী, ত্রিপুরা বাংলাদেশে নিয়মিতভাবে ৬০-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানান, এই বকেয়ার পরিমাণ প্রতিদিন বাড়ছে। তবে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি বাংলাদেশ থেকে আমদানি করার কারণে, ত্রিপুরা সরকার অতীতের সেই সহায়তার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই বাংলাদেশ এই বকেয়া অর্থ পরিশোধ করুক, যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় থাকে।”
তবে, মুখ্যমন্ত্রী এও উল্লেখ করেন যে, একটি রাজ্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বকেয়া অর্থের ওপর নির্ভর করে চলতে পারে না। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ক্রমবর্ধমান বকেয়া বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি বড় ঝুঁকি তৈরি করেছে। ভারত সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই একটি সম্মানজনক সমাধানের আশা করছে।
বিদ্যুৎ ইস্যুর পাশাপাশি, প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য নিয়েও কিছু উদ্বেগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরায় সম্ভাব্য শরণার্থী আগমন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে মানিক সাহা বলেন, “এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো শরণার্থী ত্রিপুরায় আসেনি। আমরা আমাদের রাজ্যের উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমের বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।”