ভিওইবি ডেস্ক:
আমেরিকান শীর্ষস্থানীয় তহবিল প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নিউ এনার্জি নেক্সাস। বিশ্বব্যাপী পরিচ্ছন্ন শক্তি বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে যেসব উদ্যোক্তা কাজ করেন তাদের সহায়তা করে প্রতিষ্ঠানটি। ২০৩০ সালের মধ্যে তারা প্রায় এক লাখ উদ্যোক্তাকে সহায়তা করতে চায়।
২১ বছরে ৯ হাজার ৯৫৬টি উদ্যোগ ও এক হাজার ৪৮৩ ব্যবসায় ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে নিউ এনার্জি নেক্সাস। যার মাধ্যমে ৮৩ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে নিউ এনার্জি নেক্সাসের গ্লোবাল পার্টনারশিপ ডিরেক্টর স্টেইনলি বলেন, যেসব তরুণ উদ্যোক্তা নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে কাজ করছে আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। পরিচ্ছন্ন জ্বালানি নিয়ে কাজ করা উদ্যোক্তাদের ব্যবসার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে কাজ করি। বিভিন্ন প্রকল্প নিই, তাদের স্টার্টআপে বিনিয়োগ করি, বিনিয়োগকারী খুঁজে দিই। যাতে আরও বেশি তরুণ উদ্যোক্তা পরিচ্ছন্ন জ্বালানি নিয়ে কাজ করতে উৎসাহী হয়।
তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। নতুন সরকার আছে। এটা বড় সুযোগ, ব্যবসায় সমৃদ্ধি হবে। এখানে বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে। আমি এর আগেও কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছি। নিউ এনার্জি নেক্সাস আমেরিকান প্রতিষ্ঠান। আমরা বাংলাদেশে নতুন প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে চাই। এবার এসেছি বিনিয়োগ সামিটে অংশ নিতে। নতুন সরকারের বিনিয়োগ দৃষ্টিভঙ্গি কেমন, কী ধরনের সুযোগ তারা বিনিয়োগকারীদের দিতে চান- এগুলো জানতে এবার এসেছি। এছাড়া তরুণ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে দেখা করা, নতুন এক্সেলেটর প্রোগ্রাম নেওয়া, নতুন বাংলাদেশি ক্লাইমেট টেক প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করতে এসেছি।
শিল্প ও পোশাক খাত প্রসঙ্গে স্টেইনলি এনজি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান শিল্পখাত কৃষি ও তৈরি পোশাক। তৈরি পোশাক খাতে আমাদের ব্যাপক কাজ করার সুযোগ আছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি প্রযুক্তি খাতে সম্ভাবনা আছে। কৃষক যেন সহজে বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারে ও বিপণন করতে পারে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা প্রসঙ্গে মি. এনজি বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ শিক্ষিত। তরুণরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী, তারা নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করছে। এখানে বাজারও বড়। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। নতুন সরকার আছে। এটা বড় সুযোগ, ব্যবসায় সমৃদ্ধি হবে। এখানে বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর বাংলাদেশে বড় ঘটনা ঘটেছে। সরকার পরিবর্তন হয়েছে গণঅভ্যুত্থানে। এই পরিবর্তন সুযোগও তৈরি করে। সবাই নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমি মনে করি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো সুযোগ- সুযোগগুলো সঠিক সময়ে পাওয়া।