নিজস্ব প্রতিবেদক:
ধর্ম উপদেষ্টা আল্লামা ড. আ ফ ম খালিদ হুসাইন বলেছেন, ‘মানুষ ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে যায়। প্রয়োজনে লাখ লোককে মেরে ফেলতেও দ্বিধা করে না। কিন্তু পাগলামি কমে যায় যখন মাথার ওপর ডাণ্ডা পড়ে। লোভী মানুষরা যেখানে টাকা ও জমি দেখেন, সেখানে হামলা করেন। টাকার জন্য এ পাগলামি বন্ধ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, চোর, ডাকাত ও ঘুসখোরদের হজও আল্লাহ কবুল করেন না।’
বৃহস্পতিবার রাতে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ধুলিয়া মাদরাসা মাঠে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা।
ড. আ ফ ম খালিদ হুসাইন বলেন, ‘কওমি সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। কারণ এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। তবে আমি এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাসহ সবার সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন। এখন আমাদের দেখতে হবে কওমির সনদ ও সুবিধা যারা নিতে চান, তারা নিতে কতটা প্রস্তুত। তারা নিতে চাইলে আমরা দিতে প্রস্তুত আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘চাকরি ও কওমি সনদের স্বীকৃতির বিষয়ে আলেম-ওলামাদের মাঝে একটি ফিলসফি কাজ করে, সেটি হলো- দারুল উলুম দেওবন্দের আটটি নীতির একটি হলো সরকারের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক না থাকা। মনে রাখতে হবে, মাদরাসা হলো আল্লাহর রহমত। এ মাদরাসা লোকজনের কলিজার ভেতর আল্লাহর ভয় পয়দা করে। মানুষের মুখে দাড়ি ও মাথায় টুপি নিশ্চিত করে। আল্লাহর ভয় থাকলে মানুষের মর্যাদা বেড়ে যাবে। সমাজে দুই-একজন আলেমের জন্য ফুল জামাতকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না।’
বর্তমান সরকার আট মাস দায়িত্ব পালনকালে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন চোখে পড়েছে জানিয়ে এ উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার হজের খরচ এক লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। সরকারি টাকায় এখন কেউ হজে যেতে পারবে না। এবার আমরা হাজীদের সেবার জন্য ২০০ সরকারি ডাক্তার, নার্স, ফার্মাসিস্ট ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়ে যাব। সেখানে আমরা চারটি হাসপাতালের ব্যবস্থা করেছি। হাজীরা অ্যাপসের মাধ্যমে তার লাগেজ কোথায় তা জানতে পারবেন। হজে দিনের কী কী আমল ও কর্মসূচি তা-ও জানা যাবে। হজ সিস্টেমকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা হয়েছে।’