নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানো নিয়ে জটিলতা এখনো কাটেনি। ইশরাকের শপথের পর তিনি কতদিন দায়িত্ব পালন করবেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। স্থানীয় সরকার আইনে এমন জটিলতার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যাও নেই।
এমন পরিস্থিতিতে ডিএসসিসি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) নির্বাচন জরুরি বলে মনে করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এই নির্বাচন আয়োজনে শিগগির স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দেবে বলে একাধিক সূত্র জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র জানায়, ইশরাক হোসেনের শপথ ঘিরে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, তা স্থানীয় সরকার আইনে সমাধান কঠিন। এজন্য সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কথা ভাবছে সরকার। এ নির্বাচন আয়োজনে আসন্ন ঈদুল আজহার পরপরই ইসিকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিরোধিতা করছে বিএনপি। তবে ইসি বলছে, আগে কোন নির্বাচন হবে, সেটা সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশন শুধু সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করবে।
ইশরাক হোসেন বলেন, আমি মনে করি, আমি পাঁচ বছরের জন্যই নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশের পর থেকে শপথ পড়ানো নিয়ে টালবাহানা করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন করছে ঢাকাবাসী। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে শপথ পড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, নাগরিক সেবা অব্যাহত রাখতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সিটি করপোরেশন নির্বাচন করা জরুরি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য স্থানীয় নির্বাচন আটকে রাখা বা বাধা দেওয়ার কোনো অবকাশ নেই। তবে সংস্কারের আগে সিটি নির্বাচন করলে আরও জটিলতা সৃষ্টি হবে। তাই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে পৌঁছানো দরকার।